মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে অপহরণের শিকার এক অসহায় নারীর মামলা নিতে তালবাহানা করছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই গ্রামের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি বেগমকে ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী তালাক দেয়। বিউটি বেগম ২০২৩ সালের ২১ মে এ ঘটনায় জিন্নাহর বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করে। পরবর্তীতে একই বছরের ১২ নভেম্বর তারা আবারো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে বিউটি কোমরপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকে। এর এক পর্যায়ে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে বিউটি কোমরপুর থেকে সিএনজি যোগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পথে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হাওয়াখানা নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা তাকে সিএনজি থেকে তুলে নিয়ে যায় ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জিন্নাহ তার নিজ বাড়ীর একটি টিনসেড ঘরে দুই দিন ধরে অপহৃত বিউটিকে আটকে রেখে অমানষিক নির্যাতন করে। জিন্নাহ এক পর্যায়ে বিউটির কাছ থেকে তালাক বইসহ কয়েকটি অলিখিত ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর ও টিপসহি নেয়। দুই দিন ধরে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের পর বিউটিকে ছেড়ে দেয়া হলে সে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। নির্যাতিত বিউটি জানায়, এ ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর জিন্নাহসহ ৩ জনকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট একটি মামলা জমা দেই। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে আসার পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়টি থানায় মামলাভুক্ত হয়নি। পুলিশ মামলা রেকর্ডের নামে তালবাহানা করায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় শঙ্কায় ভুগছি।